জসিম উদ্দীন, খানসামা (দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের খানসামায় প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছে ২১ বছর বয়সী এক তরুণী। তুলেছে বিয়ের দাবি।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী ) উপজেলার ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নের খামার বিষ্ণুগঞ্জ গ্রামের নাপিত পাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া শাহ্ পাড়া এলাকার অরুনা রায়ের মেয়ে ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্রী পলাশী রায় (২১) এর সঙ্গে প্রায় ২ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই ইউনিয়নের খামার বিষ্ণুগঞ্জ গ্রামের নাপিত পাড়ার মানিক রায়ের ডিপ্লোমা পড়ুয়া ছেলে শুভ চন্দ্র রায়ের (২৩) এর সাথে।

অনশনে থাকা ওই তরুণী বলেন, দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের প্রেমের প্রমাণস্বরূপ অনেক এসএমএস রয়েছে। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১ বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবার জেনে যায়। এরপর থেকেই বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলাম। কিন্তু পরিবার অন্য জায়গায় তার বিয়ে ঠিক করে। তাই বাধ্য হয়ে অনশন শুরু করি। প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করব। ওই তরুণী আরও বলেন, পরিবার থেকে বিয়ের কথা বললে ছেলেপক্ষ যৌতুকের দাবি হিসেবে ৫ লাখ টাকা চায়। পরিবার থেকে এত টাকা দেওয়া সম্ভব হবে না বলে গোপনে তারা অন্য জায়গায় বিয়ের আয়োজন করে। সেই খবর শুনে আজ সকালে আমি আশ্রয় নেই ছেলের বাড়িতে। আমার উপস্থিতিতে ছেলে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। পরে ছেলের কাকা এবং কাকি ও পিশি মিলে আমাকে জোরজবস্তি করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে।

প্রেমিক শুভ পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও এ বিষয়ে প্রেমিক শুভ মহন্ত র পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে অনশনকারীর বাবা অরুনা রায়ের সাথে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে ভেড়ভেড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনার পর মেয়েটিকে ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়েছে। তবে মেয়ে ও ছেলে পরিবারের কেউ এখানে এখনো আসেনি। এখানে উভয়ের পরিবার যেটা সিদ্ধান্ত নিবে, সেটাই হবে। আমি এখানে কি করবো।’
এ বিষয়টি জানতে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্তরঞ্জন রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,ঘটনাটির বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন।

খানসামা থানার তদন্ত ওসি তহিদুল ইসলাম জানান, ‘এ নিয়ে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’